য়না পাখি

একটি জনপ্রিয় ও বুদ্ধিমান পাখি, যা বাংলাদেশ, ভারতসহ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বহুল দেখা যায়। এদের বৈজ্ঞানিক নাম সাধারণত Acridotheres tristis (সাধারণ ময়না বা Common Myna)। তবে ময়নাদের আরও কয়েকটি প্রজাতি আছে, যেমন Hill Myna (Gracula religiosa), যেটি সবচেয়ে বিখ্যাত কারণ এটি মানুষের কথা নকল করতে পারে।
ময়না পাখির বৈশিষ্ট্য:
আকার: মধ্যম আকারের, প্রায় ২৩–২৬ সেমি লম্বা।
রং: সাধারণত বাদামি গায়ের রঙ, মাথা, গলা ও পাখা কালো। চোখের চারপাশে হলুদ রঙের দাগ থাকে।
খাবার: কীটপতঙ্গ, ফল, ধান, বিভিন্ন শস্য, এমনকি মানুষ ফেলে দেওয়া খাবারও খায়।
বুদ্ধিমত্তা: খুবই বুদ্ধিমান; প্রশিক্ষণ দিলে কিছু শব্দ ও কথা অনুকরণ করতে পারে (বিশেষ করে পাহাড়ি ময়না)।
আবাস: গাছের ফাঁকে, ঘরের চালের নিচে, ফাঁকা জায়গায় বাসা বানায়।
বাংলাদেশে পরিচিত দুই ধরণের ময়না:
সাধারণ ময়না (Common Myna): শহর ও গ্রামে প্রচুর দেখা যায়, সহজেই অভিযোজিত হয়।
পাহাড়ি ময়না (Hill Myna): কালো রঙের, মাথায় সুন্দর পালক ও হলুদ ঝুল থাকে, এবং মানুষের কথা অনুকরণে খুবই দক্ষ।
ময়না পাখি পোষা:
অনেকে বাড়িতে ময়না পাখি পুষে থাকেন, বিশেষ করে পাহাড়ি ময়না, তার কথা বলার দক্ষতার জন্য। তবে বন্য পাখিকে খাঁচায় আটকে রাখা নৈতিক ও পরিবেশগতভাবে বিতর্কিত বিষয় হতে পারে।
0 Comments