শালিক

শালিক পাখি (বাংলা পরিচিতি) শালিক পাখি বাংলাদেশের অন্যতম পরিচিত ও সহজে দেখা যায় এমন একটি পাখি। এটি গ্রামগঞ্জ, শহর, খোলা মাঠ, গাছের ডাল কিংবা বৈদ্যুতিক তারে—সবখানেই চঞ্চলভাবে ঘুরে বেড়ায়। বাংলায় একে সাধারণত "শালিক" নামে ডাকা হয়, তবে এর কিছু উপপ্রজাতির স্থানীয় নামও রয়েছে, যেমন: ভুবন শালিক, পাহাড়ি শালিক, চড়ুই শালিক ইত্যাদি। 🔹 শালিক পাখির বৈশিষ্ট্য: রঙ: গাঢ় বাদামী দেহ, মাথা ও ঘাড় কালো, চোখের চারপাশে হলুদ চামড়া ও হলুদ ঠোঁট ডানার নিচে সাদা দাগ: ওড়ার সময় এটি স্পষ্ট দেখা যায় লেজ: কিছুটা ছোট ও ডগা সাদা রঙের চোখ: উজ্জ্বল হলুদ 🔹 অভ্যাস ও আচরণ: খুব চঞ্চল ও শব্দপ্রিয় পাখি মানুষের কাছাকাছি থাকতে ভালোবাসে দলবদ্ধভাবে চলে, বিশেষ করে রাতে গাছে দল বেঁধে বিশ্রাম নেয় অনেক শব্দ ও আওয়াজ নকল করতে পারে সহজে নতুন পরিবেশে মানিয়ে নিতে পারে 🔹 খাদ্যাভ্যাস: কীটপতঙ্গ, পোকামাকড় চাল, ডাল, ভাত, ফলমূল ফেলে দেওয়া খাবার মাঝে মাঝে ছোট প্রাণী বা ডিমও খায় 🔹 প্রজনন: সাধারণত গাছের গর্ত, ঘরের কার্নিশ, দালানের ফাঁকে বাসা বানায় বছরে একাধিকবার ডিম দেয় (৪-৫টি করে) ডিম ফুটে বাচ্চা বের হতে প্রায় ২ সপ্তাহ লাগে 🔹 মানুষের সাথে সম্পর্ক: গ্রামে-শহরে সহজেই দেখা যায় অনেকে শালিক পোষে, কারণ এটি কিছুটা শেখানো যায় এর কণ্ঠস্বর অনেক রকম হতে পারে, অনেক সময় "টুনটুনি", "চড়ুই" ইত্যাদির আওয়াজ নকল করে 🔹 কিছু প্রজাতি: ভুবন শালিক (Gracupica contra) – গায়ে সাদা-কালো দাগ থাকে দাগি শালিক (Acridotheres ginginianus) জংলি শালিক (Acridotheres fuscus) 🔸 বাংলা সাহিত্যে শালিক: বাংলা কবিতা ও লোককাহিনীতে শালিক পাখির উল্লেখ পাওয়া যায়। এটি কখনো প্রেমের প্রতীক, কখনো বার্তাবাহক হিসেবে দেখা যায়।
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ক্লাসিক টেক বিডি এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url