শরীরচর্চা এবং খেলাধুলার উপকারিতা
শরীরচর্চা ও খেলাধুলার উপকারিতা অপরিসীম। আমরা আধুনিক উপযুক্তির জগতে বসবাস করি এবং আমাদের জীবন যতটা ব্যস্ততার সঙ্গে যায় আমরা ততটা নিজেদের শরীরের কথা ভুলে যাই। অর্থাৎ দুনিয়ার সকল চিন্তা-ভাবনায়, কাজ-কর্মে, বিভিন্ন দায়িত্বজ্ঞানে মেয়েদেরকে ব্যস্ত রাখি ফলে শরীরের কোন যত্ন কিংবা শারীরিক সুস্থতার কথা পর্যন্ত ভুলে যাই।
কি করলে শরীর সুস্থ থাকবে সেসব কিন্তু আমাদের মাথায় থাকে না।কিন্তু খেলাধুলা এবং ব্যায়াম সুস্থ জীবনের অংশ। খেলাধুলা এবং ব্যায়াম কেবল আমাদের শারীরিক ভাবে শক্তিশালী রাখে না, সেই সাথে আমাদের মন কেও শক্তিশালী রাখে।
পোস্ট সূচীপত্র : শরীরচর্চা ও খেলাধুলার উপকারিতা বিস্তারিত
শরীরচর্চা ও খেলাধুলার উপকারিতা
আমাদের ব্যস্ত জীবনে শরীর চর্চা কতটা জরুরী
খেলাধুলা এবং মানসিক প্রশান্তি এর সম্পর্ক
কিশোর কিশোরীদের জন্য খেলাধুলার উপকারিতা
অফিসে কর্মরত মানুষের জন্য সহজ ব্যায়াম ও টিপস
খেলাধুলা কিভাবে একাকীত্ব দূর করতে পারে
কিভাবে শরীর চর্চার মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে
মোবাইল গেমস নাকি মাঠের খেলা কোনটি আমাদের সুস্থ রাখে
শরীরচর্চা ও খেলাধুলার উপকারিতা
শরীরচর্চা ও খেলাধুলার উপকারিতা, সুস্থ সবল মানব জীবন গড়তে এর গুরুত্ব অপরিসীম। কোন ব্যক্তিই শরীর চর্চা এবং খেলাধুলা ছাড়া শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে পারবে না। শারীরিক ব্যায়াম এবং খেলাধুলার মাধ্যমে আমরা সুস্থ জীবন গড়তে পারি, সেই সাথে সক্রিয় থাকতে পারি। এই গুলা কেবল মাত্র আমাদের মানব জীবন বা শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে না বরং মানসিক ভাবেও প্রশান্তি দান করে থাকে বা মানসিক ভাবেও সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। আমাদের জীবন চলার পথে প্রতিনিয়তই প্রতিদিন অন্তত কিছু সময় ব্যায়াম করা উচিত। কারণ এর অনেক সুফল রয়েছে। যেমন প্রতিদিন অন্তত কিছু সময় ব্যায়াম করলে হৃদরোগের সমস্যা এবং ডায়াবেটিসের মতো মর্মান্তিক রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় বা দূরে থাকা যায়।খেলাধুলা কেবল শুধু মাত্র আমাদের শরীর কে এই সুস্থ করে রাখে না। খেলাধুলা আমাদের মন কেও সুস্থ করে তোলে এবং আমাদের আরো মনোযোগী এবং প্রতি কাজে আত্মবিশ্বাসী করে গড়ে তোলে।
শিশু এবং কিশোর কিশোরীদের শারীরিকভাবে এবং মানসিকভাবে বিকাশ ঘটাতে খেলাধুলা বিরাট ভূমিকা পালন করে থাকে। অর্থাৎ শিশু এবং কিশোর কিশোরীদের সঠিকভাবে শারীরিক এবং মানসিক বিকাশের উপর খেলাধুলার বিরাট প্রভাব রয়েছে। কেবলমাত্র খেলাধুলা ও শরীরচর্চা এর মাধ্যমেই এ সকল শিশু এবং কিশোর- কিশোরীদের বিভিন্ন বদ অভ্যাস থেকে বের করে নিয়ে আসা সম্ভব। এরকম অনেক বদ অভ্যাস রয়েছে যেগুলা শিশুদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। যেমন প্রযুক্তির প্রতি আসক্তি অর্থাৎ মোবাইল, ল্যাপটপ, কম্পিউটার এর মতো ডিভাইস এর প্রতি অতিরিক্ত পরিমাণে শিশুরা আসক্ত থাকে। তাই এইরকম বদ অভ্যাস গুলো কে পরাজিত করা যায় খেলাধুলা ও শরীরচর্চার মাধ্যমে।খেলাধুলা আমাদের সমাজে একটি সুন্দর বন্ধন তৈরি করে, সহনশীলতা এবং নেতৃত্ব দেওয়ার মতো শক্তি গড়ে তোলে।
আরও পড়ুনঃ গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা কোথায় কোথায় হয়
আমাদের জীবনে শারীরিক ব্যায়াম অর্থাৎ শরীরচর্চা এবং খেলাধুলা কে নিত্য দিনের অভ্যাস হিসেবে গ্রহণ করা উচিত কিংবা অভ্যাসে পরিণত করা উচিত। খেলাধুলা ও শরীরচর্চা আমাদের জীবনের অলসতা দূর করে। যা একটি মহৎ বদ অভ্যাস। এমন কিছু বিষয় আছে যেগুলা আমাদের জীবনে ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে সেই সকল অভ্যাস কে খেলাধুলার মাধ্যমে দমন করা সম্ভব। খেলাধুলার মাধ্যমে সুস্থ শরীরে সুস্থ মন এর বিকাশ ঘটে এবং সুস্থ মনই হলো আমাদের জীবনের একটি আসল শক্তি। তাই সুস্থ জীবন গড়তে খেলাধুলা এবং শরীর চর্চা এর গুরুত্ব অপরিসীম সেই সাথে একটি সুস্থ-সবল জীবনের আসল রহস্যই হলো খেলাধুলা এবং শরীর চর্চা।
আমাদের ব্যস্ত জীবনে শরীর চর্চা কতটা জরুরী
আমরা যেন সকলেই পাগলা ঘোড়ার দৌড়ের মতো তাড়াহুড়া করে যাচ্ছি। কেননা আধুনিক এই বিশ্ব আমাদের টিকে থাকতে হলে অবশ্যই অলসতা করা যাবে না।বিভিন্ন কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখতে হবে এবং লাভজনক সকল কর্ম করতে হবে। আমরা আমাদের জীবন চলার পথে করে ফেলছি এই সকল কারণে। আমাদের আধুনিক জীবনে কাজের চাপ ও দায়িত্ব এবং সময়ের কারণে আমরা নিজেদেরও ভুলে যাই। এই দ্রুত গতিতে চলা দৈনন্দিন জীবনে প্রতিদিনই আমাদের ব্যায়াম করা উচিত। তবে এই ব্যস্ত কর জোর জীবনে প্রায় সকলের কাছেই নিয়মিত ব্যায়াম করা বিলাসিতা এর মতো হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বিলাসিতা মনে হলেও আমাদের শরীর চর্চার এই বিষয়টি বাস্তব জীবনে অবশ্যই থাকতে হবে। দীর্ঘ সময় ধরে বসে থাকার মতোমনোভাব, ঘুমের অভাব ও অতিরিক্ত কাজের চাপ এবং মানসিক চাপ আমাদের শারীরিকভাবে ও মনের উপর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে থাকে। ব্যায়ামের মাধ্যমে এরকম সকল ক্ষতিকর চাপ বা ক্ষতি কারক প্রভাব সমাধান করা যেতে পারে ব্যায়ামের মাধ্যমে,যা শতভাগ কার্যকর হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।
আমাদের শরীর সুস্থ রাখতে প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ মিনিটের ব্যায়াম আমাদের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে থাকে ও এছাড়া হরমোনের ভারসাম্য ঠিকঠাক বজায় রাখে। সেই সাথে আমাদের ব্রেইন বা মস্তিষ্ককে শিথিল রাখে। ওজন কমানোর জন্য কিংবা ওজন বাড়ানোর জন্য শরীরচর্চা বা ব্যায়াম করা অপরিহার্য নয়। তবে ব্যায়াম করার মাধ্যমে খুব সহজেই আমাদের শরীর কে সুস্থ ও সবল রাখা সম্ভব। ব্যায়াম করার মাধ্যমে আমাদের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি হয়ে যায় সেই সাথে সকল ক্ষেত্রে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি হয় ও শরীরের বিষন্নতা কমায়। প্রতিদিন ব্যায়াম করলে আমাদের শরীরের ঘুম বৃদ্ধি করে এবং নিয়মিত ব্যায়াম করার মাধ্যমে আমাদের ত্বকও ফর্সা করা সম্ভব, সেই সাথে আমাদের মানসিকভাবে হালকা থাকতেও সাহায্য করে।
অফিসে কর্মরত সকল চাকরিজীবীদের ব্যস্ততার মধ্যে জীবনের ভারসাম্য রক্ষার জন্য ব্যায়াম রিয়ার ভূমিকা পালন করে। দিনের বেলায় আমাদের চারপাশে কত কিছু ঘটে যাচ্ছে। কত দুশ্চিন্তা, কত প্রত্যাশিত ঘটনা, অন্যান্যদের নানান রকম ঘটে যাওয়া ঘটনা অর্থাৎ চারপাশের সকল কিছু শোনানোর জন্য হলেও নিয়মিত কিছুটা সময় ব্যায়াম করায় ব্যয় করতে হয়। কেননা এই ব্যায়াম আমাদের নিজেদের প্রতি দীর্ঘমেয়াদি ভাবে তিনিক করা হয়। কোন মানুষ যেকোনো বয়সেই ব্যায়াম করা শুরু করতে পারে এবং সকলেরই করা উচিত। সুস্থ ও সবল জীবন যাপনের জন্য বর্তমানে ব্যায়াম করার আর কোন বিকল্প নেই, এটি একটি সম্পূর্ণ ভালো অভ্যাস।
খেলাধুলা এবং মানসিক প্রশান্তি এর সম্পর্ক
খেলাধুলা কেবল শারীর গ্রামের হিসেবে কাজ করে না। বরং মনকে হালকা প্রশান্ত রাখার এক অভিনব বা হিসেবে কাজ করে। দৈনিক জীবনে নানান উদ্বেগ, হতাশা এবং একঘেয়েমি দূর করতে খেলাধুলা এর অনেক অবদান রয়েছে। খেলাধুলায় অগ্রসর হওয়া কিংবা খেলাধুলার প্রতি মনোযোগী হলে এটি আমাদের মস্তিষ্কে সুখের হরমোন উৎপাদনকে সক্রিয় করে তোলে এবং এর ফলে মানসিক চাপ দূর হয়। খেলাধুলার মাধ্যমে আমরা যে কোন কাজে আরো মনোযোগী হয়ে উঠতে পারি। অর্থাৎ খেলাধুলার কারণে আমাদের মনোযোগ সত্যি আরো বৃদ্ধি হয়। তাছাড়া যে কোন খেলায় জয়ী হওয়ার মত মনোভাব বা বিশ্বাস আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সকল ছাগল কিছুতে আরো আত্মবিশ্বাস যোগায় তাছাড়া খারাপ চিন্তা ভাবনা থেকে আমাদের মস্তিষ্ককে দূরে রাখে।খেলাধুলার মাধ্যমে আমাদের জীবনের নানা রকম হতাশা দূর হয় কেননা একাকীত্ব অবস্থায় থাকলে আমরা আরো হতাশায় ভুগি। তবে যদি আমাদের মন ব্যস্ত থাকে কিংবা মানুষজনের সঙ্গে সময় কাটানো যায় তাহলে হতাশা আমাদের ছুঁতে পারেনা কিংবা ডিপ্রেশন এর মত ক্ষতিকর একটি দিক আমাদের মানসিকভাবে কোন ক্ষতিসাধন করতে পারে না। তাই এরকম ব্যস্ত থাকতে খেলাধুলার গুরুত্ব অপরিসীম। খেলাধুলার মাধ্যমে একাকীত্ব বাহ হতাশা আমাদের আমাদের মনে প্রবেশ করতে পারে না।
শিশু হোক কিংবা বৃদ্ধ হোক না কেন, খেলাধুলার মাধ্যমে সবাই উৎসাহে ভরে ওঠে। সকল মানুষকে মনকে আনন্দিত করে তোলে। বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে মাঠে খেলতে যাওয়ার মতো আনন্দ কর বিষয় খুবই কম আছে। তাছাড়া বন্ধুদের সাথে মাঠে খেলতে যাওয়া উত্তেজনা সৃষ্টি করে এবং সামাজিক হবে ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলে। খেলাধুলার মধ্যে প্রতিযোগিতা এবং কৌশল আমাদের মানসিকভাবে সতেজ করে তোলে, তাছাড়া খেলা খেলার মাধ্যমে মানুষ পুনরুজ্জীবিত থাকতে পারে। খেলাধুল মানুষের দৈনন্দিন জীবনের মানসিক ভারসাম্য ও আনন্দের মূল রহস্য। তাই শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ মন গড়ে তুলতে নিয়মিত খেলাধুলায় অগ্রসর হওয়া বা লিপ্ত হওয়ার প্রয়োজন। সবশেষে শরীরচর্চা ও খেলাধুলার উপকার অপরিসীম।
আরও পড়ুনঃ সকালে যে ১০ টি খাবার খেলে ওজন বাড়ে
কিশোর কিশোরীদের জন্য খেলাধুলার উপকারিতা
কিশোর বয়স কিশোর ও কিশোরীদের জন্য জীবনের একটি চরম গুরুত্বপূর্ণ সময় বা পর্যায়। এই সময় কালে দ্রুত শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন ঘটে এবং সঠিক বিকাশ নিশ্চিত করার জন্য ভালো অভ্যাসের প্রয়োজন হয়। খেলাধুলা কেবল এই বয়সের শিশুদের আনন্দের বা বিনোদনের উৎসই নয়, শিক্ষা ক্ষেত্রেও খেলাধুলা এদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটি শরীরের বিকাশ ঘটায়, খেলাধুলার মাধ্যমে কিশোর ও কিশোরীদের শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা অধিক শক্তিশালী করে তোলে এবং দৈনন্দিন জীবনের নানান রকম সকল ক্লান্তি দূর করতে সক্ষম। খেলাধুলার মাধ্যমে কিশোর কিশোরীরা নানান বিষয়ে নিয়মকানুন শিখে, কারণ খেলাধুল নিয়ম কানুন বিদ্যমান থাকে। সে অনুসারে সকল ক্ষেত্রেই এরা নিয়ম কানুন মেনে চলে বা ডিসিপ্লিনের মধ্যে চলতে সহায়তা পায়। খেলাধুলার মাধ্যমে তারা নিয়ম কানুন শেখার পাশাপাশি সময় জ্ঞান সম্পর্কে তাদের সচেতনতা বৃদ্ধি পায় এবং দায়িত্বশীলতা বৃদ্ধি হয়। খেলাধুলা নিজের মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি করে ও নেতৃত্ব ভাব বা নেতৃত্ব করার মতো শক্তি গড়ে তোলে। হ্যাঁ অধরা মনকে শান্তি দেয় যেন পড়াশোনার চাপ বা যে কোন মানসিক চাপ কিশোর কিশোরীরা সাময়িকভাবে ভুলে যেতে পারে।
খেলাধুলা কিশোর কিশোরীদের স্মৃতি সত্যি বৃদ্ধি করে ফলে তাদের বিশেষ কাজ পড়াশোনা এর জন্য এই স্মৃতি শক্তির বৃদ্ধি তা বিরাট সাহায্য করে থাকে যেমন, পড়ালেখা মনে থাকে ও এক্সামের সময় পূর্বের পড়া মনে থাকে সেই কারণে ভালো পরীক্ষা দিতেও সক্ষম হয়। আবার খেলাধুল তাদের তীক্ষ্ণ করে তোলে। বন্ধু বান্ধব দের সঙ্গে দলগত খেলাধুলায় সামাজিক বন্ধন গড়ে ওঠে। খেলাধুলা কিশোর ও কিশোরীদের মধ্যে মোবাইল ও গেম এবং মাদক শক্তির মতো নানান রকম ক্ষতিকর দিক যা শরীরে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে সেইসব দিক গুলো প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়। খেলাধুলা তাদের জীবনকে সুশৃংখলভাবে গড়ে তোলে এবং সুখে করে তোলে। তবে খেলাধুলা ছাড়া ভবিষ্যতে সুস্থ ও আত্মবিশ্বাসী এবং সম্পূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার আর কোন বিকল্প নেই। খেলাধুলা কিশোর ও কিশোরীদের সারা জীবন এর জন্য সহায়ক হতে পারে। এজন্যই তারা বয়সন্ধিকালেও খেলাধুলার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারে কেননা এটি সব সময়ই সাহায্যকারী।
অফিসে কর্মরত মানুষের জন্য সহজ ব্যায়াম ও টিপস
অফিসের ডেক্সটপে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার ফলে সেই সকল মানুষদের শরীরে বেশ কিছু ধরনের ভিন্ন ভিন্ন স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা যায় বা কিছু সার্থগত সমস্যার তাদের সম্মুখীন হতে হয়। যেমন পিঠে ব্যথা থেকে শুরু করে মাথাব্যথা এমনকি মানসিক ভাবে ক্লান্তি। কিছু সহজ ব্যায়াম এবং শারীরিক ক্রিয়াকলাপ তাদের ব্যস্ত জীবনের কিছুটা পরিবর্তন আনতে পারে সেই সাথে তাদের প্রতিদিনের রুটিনেও এই ব্যায়ামগুলো অনেক সহায়ক হবে। কোন ব্যক্তি যখন প্রতিদিন অফিসে যায়, তখন সে অফিসে লেফট এড়িয়ে চলে সিঁড়ি চলার মাধ্যমে উপরে উঠতে মনোযোগী হতে পারেন। আবার প্রতি ঘন্টায় প্রায় দু তিন মিনিট হাটা বা হালকা স্ট্রেচিং এর মত কার্যকলাপ করতে পারে ফলে রক্ত সঞ্চালন সঠিকভাবে বজায় থাকে।
বিকেলে কিছু শারীরিক ব্যায়াম অথবা কাজ শেষে বাড়ি ফিরে ২০ মিনিটের মধ্য সময়ে ব্যায়াম করার ফলে শরীর ও মনকে পুনরুজ্জীবিত করে তুলতে পারে। প্রতি সপ্তাহে প্রায় একবার জায়গায় বাইক চালানো বা জগিং করা ও জইম করতে পারে যা সেই সকল মানুষদের মানসিকভাবে সুস্থ সবল রাখবে সেই সাথে মানসিক ভাবে শিথিল রাখবে। তারা জিমে যেয়ে অথবা জিমে গিয়ে শারীরিক ব্যায়াম করেন কিনা সে বিষয়টা বেশি একটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো একটি ভালো অভ্যাস গড়ে তোলা। ব্যায়াম করা হলো সুস্থতা থাকার মাধ্যমে কাজের সময় নিজেকে বা নিজের শরীরকে সক্রিয় রাখা।
খেলাধুলা কিভাবে একাকীত্ব দূর করতে পারে
শরীরচর্চা ও খেলাধুলার উপকারিতা কি, এ বিষয়টির অনেক উত্তর রয়েছেন। তার মধ্যে একাকীত্ব দূর করা অন্যতম। একাকীত্ব হলো এক ধরনের মানসিক যন্ত্রণা যা মানুষকে ধীরে ধীরে কোন এক সময় মানসিকভাবে ধ্বংস করে ফেলতে পারে। আধুনিক জীবনে বিশেষ করে শহরের জীবনে অনেক মানুষ হয়েছে যারা গ্রাম ছেড়ে বা নিজস্ব বাড়িঘর ছেড়ে জীবনের জন্য সহজে একা একা থাকে। ফলে তারা একাকীত্ব বোধ করার মাধ্যমে মানসিক কষ্টের ভেতরে থাকে। তবে এই একাকীত্ব দূর করতে পারে। খেলাধুলার মাধ্যমে এই একাকিত্ব থেকে বেরিয়ে আস একটি অন্যতম উপায় এবং এই খেলাধুলার প্রভাব অনেক বেশি। একবার খেলতে গেলে মানুষ নতুন কোন মানুষের সঙ্গে পরিচিত হয় ফলে বন্ধুত্ব তৈরি হয়। এভাবে গ্রুপ গেমে, সকলেই সকলকে সাহায্যের মাধ্যমে সহযোগী হন।
এর ফলে একাকীত্ব দূর হয় এবং সামাজিক কাঠামো উন্নত হয়। প্রতিবার খেলাধুলা করা কিংবা নিয়মিত খেলা করা মনকে ব্যস্ত এবং খুশি রাখে। ফলে হতাশাগ্রস্ত হওয়া কিংবা একাকীত্ব হওয়ার বা একাকীত্ব বোধ করার কোন সম্ভাবনা থাকে না। খেলাধুলা কেবল শুধুমাত্র মনকে সুস্থ করেই তোলে না,সেই সাথে মানসিকভাবে ও সবাইকে সুস্থ করে তোলে এবং মানসিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনে। খেলাধুলা আমাদের আত্মসম্মান বৃদ্ধি করে তোলে।সবশেষে যে কোন মানুষই এটি বলতে পারে যে খেলাধুলা এর মাধ্যমে আগে তো দূর করা একটি দুর্দান্ত এবং সেরা উপায় বা সুযোগ।
কিভাবে শরীর চর্চার মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে
ব্যায়াম আমাদের শরীরের রক্ত সঞ্চালন বজায় রাখে। ফলে সুস্থতার সঙ্গে শরীর বেড়ে উঠতে পারে। তাছাড়া রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যমে আমাদের শরীরের সমস্ত কোষ, পোস্টটি ও অক্সিজেন সঠিকভাবে গ্রহণ করতে পারে। ব্যায়াম বা শরীরচ র্চার মাধ্যমে আমাদের শরীরের বিষাক্ত পদার্থ দূর হয়।ব্যায়াম শরীরের শ্বেত রক্ত ক্ষণিকার কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে যা রাখবা ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম। এ সকল কারণে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অধিক বৃদ্ধি পায়।
ব্যায়াম আমাদের শরীরে এটি নিশ্চিত করে যে শরীর সক্রিয় থাকতে ও সুস্থ সবল রাখবে। সেই সাথে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনাও অনেক হ্রাস করে কিংবা অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা কমায়। ব্যায়াম করার মাধ্যমে আমাদের মানসিক চাপ কমে এবং শরীরকে বেশিরভাগ অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত করে তোলে। মানসিক চাপ আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়, তাই আমাদের শরীরে ঘন ঘন অসুস্থতা বা বিভিন্ন রোগের দেখা দেয়।সেক্ষেত্রে ব্যায়াম করা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
মোবাইল গেমস নাকি মাঠের খেলা কোনটি আমাদের সুস্থ রাখে
বর্তমান যুগে শিশুরা মোবাইল ও ভিডিও গেমের প্রতি আসক্ত হয়ে গেছে। ঠিক যেমন তারা মাঠে খেলার মাধ্যমে আনন্দ পেয়ে থাকে, তারা মনে করে যে ভিডিও গেম এর মাধ্যমেও তারা একই আনন্দ পায়। তবে দুটি গেমের প্রভাব একই রকম নয়।ভিডিও গেমগুলি আমাদের মানসিক চাপ ও চোখের উপর চাপ সৃষ্টি করে সেই সাথে পাশাপাশি সারাক্ষণ কম্পিউটার এখানে বসে থাকলে আমাদের শরীরে অলসতা বৃদ্ধি হয়। আমাদের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।
অন্যদিকে খোলা জায়গায় মাঠে গিয়ে খেলার মাধ্যমে আমাদের শরীরের সক্রিয়তা বৃদ্ধি হয়। তাছাড়া শরীর সমস্ত অংশের ব্যায়ামও হয়,পাশাপাশি আমরা মানসিক ভাবেও স্থির থাকতে পারি। খেলার মাঠে যেয়ে দৌড়ানো, লাফানো বা দলগতভাবে খেলা এটি শুধুমাত্র শারীরিক কোন চর্চায় নয়,এটি সামাজিক সংযোগও বজায় রাখে। মোবাইল গেমগুলি একাকীত্ব আরও বাড়িয়ে তোলে, যেখানে মাঠের খেলা মানুষের সঙ্গে আরও বাস্তব ভাবে সংযোগ হতে সাহায্য করে। সুতরাং, মাঠে খেলা আমাদের জন্য ভালো এবং আরে হারা মাধ্যমে আমরা সুস্থ জীবন যাপন করতে পারি। অন্যদিকে মোবাইল গেমগুলি আমাদের শরীরের উপর নানা রকম ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।
শরীরচর্চা এবং মানসিক স্বাস্থ্যের মধ্যে কি সম্পর্ক রয়েছে
মানসিক চাপ, উদ্বেগ এবং ক্লান্তির এই যুগে ফাইভ ব্যায়াম করার মাধ্যমে নিরবেই আমাদের সুস্বাস্থ্য গড়ে উঠতে থাকে। কারণ যখন আমরা ব্যায়াম করি বা শরীর চর্চা করি তখন আমাদের শরীর কেবলমাত্র ঘামেই না,ব্যায়ামের ফলে আমাদের মস্তিষ্ক প্রশান্তির হরমোন নিঃসরণ করে।এটি আমাদের মানসিকভাবে পরিষ্কার ও স্বচ্ছ থাকতে সাহায্য করে। এছাড়া আমাদের বিষন্নতা দূর করে এবং এক ধরনের প্রশান্তি দেয়। সঠিক ব্যায়ামের মাধ্যমে বা সঠিক ব্যায়ামের অভ্যাস কৃত ব্যাক্তিরা অনেক বেশি ভারসাম্যপূর্ণ হয় এবং আত্মবিশ্বাসে হয়ে থাকো।
ব্যায়াম আমাদের শরীরের অস্থিরতা কমায় এবং শরীরে সঠিক ভালো ঘুম হতে সাহায্য করে এর পাশাপাশি আমাদের চিন্তা ভাবনা কেও আরও সুশৃংখল করে গড়ে তোলে। কখনো কখনো এমনও কোন রোগ রয়েছে যে রোগ নিরাময়ে ওষুধ খাওয়ার বদলে হাটা বা জগিং করা বেশি কার্যকরী হয়ে থাকে। তাই আমরা বলতেই পারি যে শারীরিক ব্যায়ামের মাধ্যমে আমাদের সুস্বাস্থ্য ভরে ওঠে এবং মানসিক স্বাস্থ্য ও শারীরিক ব্যায়াম একে অপরের অদৃশ্য সঙ্গি।
আমাদের শেষ কথা
প্রিয় পাঠক আশা করি আমাদের এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার পরে আপনারা বুঝতে পেরেছেন শরীরচর্চা এবং খেলাধুলার উপকার কি কি হতে পারে। সুস্থ সবল জীবন যাপন করার জন্য শরীর চর্চা এবং খেলাধুলার বিকল্প নেই।
উপরে আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনারা উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আমাদের এই পোস্ট টি অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করবেন। কারণ তারাও যেন আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ে শরীরচর্চা এবং খেলাধুলার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারে।
ক্লাসিক টেক বিডি এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url